organic2022.com
https://www.organic2022.com/2022/07/blog-post_54.html
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
আপনি কি জানতে চান শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয় কি? শিশুদের টাইফয়েড জ্বর একটি মারাত্মক ব্যাধি। যদি শিশুর টাইফয়েড এর লক্ষণ দেখা দেয় এবং সঠিক যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে শিশু মৃত্যুর মুখামুখি হতে পারে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এবং শিশুর টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়গুলো জানতে হবে।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে, আজকে আমরা আলোচনা করব শিশুদের টাইফয়েড জ্বর কি? আরো আলোচনা করব শিশুর টাইফয়েড এর লক্ষণ এবং শিশুর টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়। তাহলে চলুন দেখে নেই শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়।
পোস্ট সূচিপত্র: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
- শিশুদের টাইফয়েড জ্বর কি? শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
- শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
- শিশুর টাইফয়েড এর লক্ষণ: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
- শিশুর টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
- শেষ কথা: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
শিশুদের টাইফয়েড জ্বর কি? শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
শিশুদের টাইফয়েড জ্বর হলো সালমোনেলা টাইপি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত একটি সংক্রামক রোগ। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশের 6 থেকে 30 দিনের মধ্যে লক্ষণ গুলো দেখা যায়। এই ব্যাকটেরিয়া রোগীর দেহের রক্ত এবং অন্ত্রে বৃদ্ধি পায়। এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত ব্যক্তির মলমূত্র এবং খাদ্য বা পানির দ্বারা ছড়িয়ে থাকে।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এছাড়া অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা যায় যেমন: দুর্বলতা, খাদ্যে অনীহা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ব্যাথা এবং পেট ব্যাথা ইত্যাদি। কোন রোগের ক্ষেত্রে ত্বকে রেশ এর সাথে গোলাপি স্পট দেখা যায়। কিন্তু কোন ব্যক্তি রোগে আক্রান্ত না হয়েও জীবাণু বহন করতে পারে। এবং এই রোগী অন্যকে সংক্রামিত করতে পারে।
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
দূষণযুক্ত বাতাস এবং পানি ব্যবহারে শিশুদের এই রোগের প্রাদুরভাব দেখা যায়। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে সব সময় পরিষ্কার পানি ব্যবহার এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়াও জানতে হবে শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়। তাই এখন আলোচনা করব শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয় নিয়ে।
শিশুর টাইফয়েড এর লক্ষণ: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
শিশুর টাইফয়েড এর লক্ষণ গুলো জানা থাকলে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন এই জ্বরটি শিশুর ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর কিনা। তাই নিম্নের লক্ষ্য করুন শিশুর টাইফয়েড এর লক্ষণগুলো:
- একটানা জ্বর থাকা 104° ফারেনহাইট পর্যন্ত।
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথা ব্যাথা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া দেখা দিতে পারে।
- খাদ্যে অনীহার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দেয়।
- কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে।
- আক্রান্ত শিশুর কফ বা কাশি দেখা দিতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত পেট ব্যাথা করতে পারে।
- জ্বর থাকার দ্বিতীয় সপ্তাহে আক্রান্ত শিশুর পেট ও পিঠে গোলাপি রঙের রেশ দেখা যেতে পারে।
- হৃদস্পন্দন বা হার্টরেট কমে যেতে পারে।
আপনি যদি আপনার শিশুর এই লক্ষণ গুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
শিশুর টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
দুই থেকে তিন দিন পর্যবেক্ষণ করার পরও যদি জ্বর না কমে। তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও শিশুর টাইপের জ্বর হলে করণীয় রয়েছে। যেমন:
- রোগীকে অত্যধিক পরিমাণ তরল খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।
- সেনিটাইজেশনের প্রতি অধিক মনোযোগী হতে হবে। প্রতিবার বাথরুম ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাত্রে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও খাদ্য ফলমূল বা খাদ্য পরিষ্কার করে খেতে হবে।
- রোগীকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
- উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
- জ্বর মাত্রাতিরিক্ত হলে ভেজা তুয়ালে বা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।
- ডাক্তার যতদিন পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক ততদিন পর্যন্ত গ্রহণ করতে হবে।
- এছাড়া আদা, তুলসী পাতা এবং অ্যাপল সাইডার ভিনেগার খাওয়াতে হবে। এগুলো রোগীর উদ্বোধন ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে।
উপরোক্ত করনীয় গুলোর মাধ্যমে দ্রুত শিশুকে টাইফয়েডের থেকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন।
শেষ কথা: শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়
আমাদের আজকের পোস্ট শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও করণীয় পড়ে নিশ্চয়ই আপনি উপকৃত হয়েছেন। সাধারণত এই ধরনের রোগ দূষিত পরিবেশ এবং পানি থেকে হয়ে থাকে। অবশ্যই এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের টাইফয়েড জ্বর হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আজকের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে সচেতন করে দিন। আর এই বিষয়ে আপনার কোন মতামত থেকে থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন