organic2022.com
https://www.organic2022.com/2022/07/blog-post_52.html
টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়, ভালো করার উপায়, করণীয় এবং কেন হয়
আপনি কি জানতে চান টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে বা টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়? এবং টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে? টাইফয়েড হল সালমোনেলা টাইপী নামক ব্যাকটেরিয়া সংগঠিত একটি সংক্রামক ব্যাধি। টাইফয়েডকে পানিবাহিত রোগও বলা হয়। একটি সাধারণত অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং দূষিত পানি থেকে হয়ে থাকে। এটি রোগীর অন্ত্র ও রক্তে বৃদ্ধি পায়। এই রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে সঠিক যত্নের অভাবে। তাই এই রোগ সম্পর্কে আমাদের বিস্তর ধারণা থাকা উচিত।
আপনাদের সুবিধার্থে, আজকে আমরা আলোচনা করব টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়? আরো আলোচনা করব টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে, টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এবং টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়। এছাড়াও আলোচনা করব টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয় এবং টাইফয়েড জ্বর কেন হয়? তাহলে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত টাইফয়েড সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র: টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়
- টাইফয়েড জ্বর কেন হয়? টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়
- টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়? টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে?
- টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়
- টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়
- শেষ কথা: টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়
টাইফয়েড জ্বর কেন হয়? টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়
টাইফয়েড জ্বর হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো দূষিত খাদ্য পানীয় গ্রহন। টাইফয়েড একটি পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ। সুস্বাস্থ্যকর স্যানিটাইজেশনের অভাবেও এই রোগ হয়। খাদ্য পানীয় গ্রহনে আমরা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি না। যেমন: ৩০ মিনিট ধরে পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করি না, ফিল্টার কিংবা ফিটকিরি ব্যবহার করি না, নিরাপদ পানির উৎস হতে পানি পান করি না ইত্যাদি। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া যুক্ত পানি পান করার ফলে টাইফয়েড রোগ হয়। টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে তার কোন নির্দিষ্টতা নেই। কারণ এক এক রোগের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। তবে সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিনে এই রোগ সারতে পারে।
এছাড়া সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোগে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকার ফলেও এই রোগে আক্রান্ত করতে পারে। এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছি টাইফয়েড জ্বর কেন হয়?
টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়? টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে?
পানিবাহিত জীবানু সালমোনেলা টাইপী ব্যাকটেরিয়া দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। যার ফলে মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। যেহেতু এটি একটি পানিবাহিত সংক্রামক রোগ। তাই পানির মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম বৃহতন্ত্রকে আক্রমণ করে। তারপরও আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে বা টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়? এবং টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে?
টাইফয়েড একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির মল ও মূত্রের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে থাকে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার জন্য একজন সুস্থ ব্যক্তিও টাইফয়েডের আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়া বহনকারী একজন ব্যক্তি নিজে টাইফয়েডে আক্রান্ত না হয়ে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের বিশুদ্ধ পানি পান করা এবং ব্যবহার করা নিশ্চিত করতে হবে।
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়
টাইফয়েড জ্বর হলে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে সঠিক পরিচর্যার বিকল্প নেই। তাই দেখা নেই ঘরোয়াভাবে টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় নিম্নরূপ:
- প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান: টাইফয়ের জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। শুধু বিশুদ্ধ পানি নয় তরল খাবারও খেতে পারেন। যেমন: ফলের রস, হারবাল চা ইত্যাদি। যেহেতু এ সময় ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই প্রচুর পানি পানে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। এক্ষেত্রে ফলের রস সবচেয়ে কার্যকরী। যত বেশি পানি পান করবেন তত বেশি টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। আর রোগী তত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
- আদা: টাইফয়েড এর চিকিৎসা আদার কার্যকারিতা রয়েছে। আদাতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের পাচ্য আবর্জনা বের করে দিতে সাহায্য করে। কাঁচা আদা বা অল্প সিদ্ধ আদা শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
- তুলসী পাতা: তুলসী পাতারকে আয়ুর্বেদিক ঔষধ বলা হয়। এটি টাইফয়েডের চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী। পরিমাণ মতো তুলসী পাতা নিয়ে গরম জলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এতে তুলসী পাতাতে থাকা ধুলোবালি দূর হয়ে যাবে। তারপর সামান্য আদার রস, মধু বা গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে তুলসী পাতা খেয়ে নিন। এতে টাইফয়েড জ্বর তাড়াতাড়ি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়
টাইফয়ের জ্বর হলে করণীয় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে তাড়াতাড়ি রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয়গুলো নিম্নরূপ:
- প্রথমত দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জ্বর না সারলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি তরল খাবারও খেতে পারেন।
- বেশি জ্বর থাকলে সারা শরীর ভেজা তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।
- উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত ফলমূল ও খাবার খেতে হবে।
- স্বাস্থ্য করছেন সেনিটাইজেশন নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিবার বাথরুম ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
শেষ কথা: টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায়
আমাদের আজকের পোস্ট টাইফয়েড জ্বর কিভাবে ছড়ায় পড়ে নিশ্চয়ই আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমরা আরো আলোচনা করেছি টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে, টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এবং টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়। এছাড়াও আলোচনা করেছি টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয় এবং টাইফয়েড জ্বর কেন হয়? আশা করছি আজকের পোস্টটি পড়ার পর টাইফয়েড জ্বর হলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন