organic2022.com
https://www.organic2022.com/2022/07/blog-post_4.html
সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আপনি কি জানতে চান সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি? যে পথ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তাকে সার্কিট বা বর্তনী বলে। অর্থাৎ কারেন্ট বা বিদ্যুৎ পরিবহনের সম্পূর্ণ পথকে সার্কিট বা ইলেকট্রনিক বর্তনী বলে। যদি এর থেকে সহজ ভাষায় বলি তাহলে, ইলেকট্রনিক বর্তনী বা সার্কিট হল বিদ্যুৎ এর উৎস, নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, পরিবাহী, রক্ষণযন্ত্র এবং ব্যবহার যন্ত্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি পাদ যার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে।
ইলেকট্রনিক বর্তনী বা সার্কিটকে সংযুক্ত করার পদ্ধতির ওপর বৃদ্ধি করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন: সিরিজ সার্কিট, প্যারালাল সার্কিট এবং মিশ্র সার্কিট। তবে এই তিনটি সার্কিট এর মধ্যে সিরিজ সার্কিট ও প্যারালাল সার্কিট নিয়ে আমরা অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাই। যেমন: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি আমরা বুঝতে পারি না।
তাই আপনাদের সুবিধার্তে আজকে আমরা আলোচনা করব, সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি? আরো আলোচনা করবো, সিরিজ সার্কিট কি, প্যারালাল সার্কিট কি, এগুলো সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে। তাহলে চলুন দেখে নেই সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
পোস্ট সূচিপত্র: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
- সিরিজ সার্কিট: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
- প্যারালাল সার্কিট: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
- সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
- শেষ কথা: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
সিরিজ সার্কিট: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
এখন আমরা বিস্তারিত জানব সিরিজ সার্কিট সম্পর্কে। অর্থাৎ সিরিজ সার্কিট কি? সিরিজ সার্কিট এর সুবিধা এবং অসুবিধা।
সিরিজ সার্কিট কি?
যে সার্কিটে একাধিক রেজিস্টার বা রোধকে পরস্পর এমন ভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে উৎসের সাথে সংযুক্ত করলে প্রতিটি রোধে একে কারেন্ট বা বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। এ ধরনের সার্কিট বা বর্তনীকে সিরিজ সার্কিট বলে।
সিরিজ সার্কিট এর সুবিধা:
- সিরিজ সংযোগ পদ্ধতিতে সমস্ত সার্কিটটিকে একটিমাত্র সুইচ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- সিরিজ সার্কিট এর সাহায্যে যেকোনো ধরনের উচ্চ ভোল্টেজের হাত থেকে সার্কিটকে রক্ষা করা যায়।
সিরিজ সার্কিট এর অসুবিধা:
- সিরিজ বর্তনীতে একটি মাত্র সংযোগ নষ্ট হলে সম্পূর্ণ বর্তনী কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ সিরিজ বর্তনীতে যতগুলো বাল্ব সংযুক্ত আছে তার মধ্যে থেকে একটি বাল্ব নষ্ট হয়ে গেলে বাকি বাল্বগুলো অকেজো হয়ে যাবে।
- যেহেতু সিরিজ পদ্ধতিতে একই ভোল্টেজ প্রতিটি বাল্বে ভাগ হয়ে যায়। সেহেতু সামান্য ভোল্টেজ পায়। তাই বাল্বগুলো সম্পূর্ণ কাজ করতে পারেনা।
- প্রতিটি রোধকে আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
প্যারালাল সার্কিট: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
এখন আমরা বিস্তারিত জানব প্যারালাল সার্কিট সম্পর্কে। অর্থাৎ প্যারালাল সার্কিট কি? প্যারালাল সার্কিট এর সুবিধা এবং অসুবিধা।
প্যারালাল সার্কিট কি?
যে সার্কিটে একাধিক রেজিস্টার বা রোধকে পরস্পর এমন ভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে প্রতিটি রোধের এক প্রান্ত একটি সাধারন বিন্দুতে এবং অন্য প্রান্ত আরেকটি সাধারন বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে, যাতে প্রতিটি রোধে একই ভোল্টেজ প্রবাহিত হতে পারে। এ ধরনের সার্কিট বা বর্তনীকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
প্যারালাল সার্কিট এর সুবিধা:
- প্রতিটি বাল্বকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় পৃথক পৃথক সুইচ এর মাধ্যমে।
- বর্তনীতে একটি বাল্ব নষ্ট হলে অন্যটিতে কোন প্রতিক্রিয়া পড়ে না।
- প্রতিটি রোধ সমান ভোল্টেজ পাওয়ায় সবগুলো সঠিক মত কাজ করে।
প্যারালাল সার্কিট এর অসুবিধা:
- প্যারালাল সার্কিটে অসুবিধা তেমন পরিলক্ষিত হয় না। তবে যেহেতু পৃথক পৃথক নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাই বাল্বের সংখ্যা বেশি প্রয়োজন হয়।
আরো দেখুন: সেরা শাওমি মোবাইল প্রাইস বাংলাদেশে 2022
সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
সিরিজ সার্কিট ও প্যারালাল সার্কিট এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
- সিরিজ সার্কিটে প্রতিটি রোধের মধ্য দিয়ে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে প্যারালাল সার্কিটের প্রতিটি রোধের মধ্য দিয়ে সমান ভোল্টেজ প্রবাহিত হয়।
- সিরিজ সার্কিট প্রতিটি রোধের মধ্য দিয়ে ভোল্টেজ ভাগ হয়ে যায়। অপরদিকে, প্যারালাল সার্কিটের প্রতিটি রোধের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ ভাগ হয়ে যায়।
- সিরিজ বর্তনীর সমতুল্য রোধ নির্ণয় এর সূত্র: Req= R1+R2+R3+......... অন্যদিকে, প্যারালাল বর্তনীর সমতুল্য রোধ নির্ণয় এর সূত্র: 1/Req: 1/Req+2/Req+3/Req+........
- সিরিজ বর্তনী রোধগুলো পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করে না। অন্যদিকে প্যারালাল বর্তনীতে রোধগুলো পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করে।
- সিরিজ বর্তনীতে একটি বাল্ব নষ্ট হলে বাকি সবগুলো বাল্ব নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু প্যারালাল বর্তনীতে একটি বাল্ব নষ্ট হলে অন্যগুলোতে কোনো প্রভাব পড়ে না।
- সিরিজ বর্তনীতে সংযুক্ত বাল্বের স্থায়িত্ব বেশিদিন হয়। কিন্তু প্যারালাল বর্তনীতে সংযুক্ত বাল্বের স্থায়িত্ব তুলনামূলক কম হয়।
- সিরিজ বর্তনীর প্রয়োগ কম হয়। কিন্তু অপরদিকে প্যারালাল বর্তনীর প্রয়োগ অনেক বেশি।
শেষ কথা: সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আমাদের আজকের পোস্ট সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি উপকৃত হয়েছেন। সিরিজ এবং প্যারালাল হল ইলেকট্রনিক বর্তনীর দুটি সংযোগ পদ্ধতি। এই দুটি ভিন্ন দুই পদ্ধতিতে কাজ করে। তাই যারা ইলেকট্রিক নিয়ে কাজ করেন তাদের এই দুইটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানা উচিত। আশা করছি আজকের পোস্ট টি পড়ার পর সিরিজ এবং প্যারালাল এর মধ্যে পার্থক্য কি জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনি যদি আর কোন তথ্য জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন